পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ শান্তি প্রিয় নেতা ও মাননীয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নাম ব্যাবহার করে বলদিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ বিতর্কিত কাজ করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয় সরকারের আইনের উপর তোয়াক্কা না করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ বিতর্কিত কাজ কর্ম করে চরম বিতর্কিত হয়েছে ইতিমধ্যে। করোনার কঠিন দুঃসময়ে সরকারের বি জি এফের টাকা বিতরণ করার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বলদিয়া ইউনিয়নের সভাপতি সহ বেশ কিছু শীর্ষ নেতারা স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জিম্মি করে কার্যক্রম বন্ধ রাখে গত বৃহস্পতিবার।অথচ কয়েক শতাধিক অসহায় নারী পুরুষও জিম্মি হয়ে পড়ে স্থানীয় নেতাদের কারণে। সরেজমিনে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা ঈদের আগের দিনের ঘটনা স্থলে হাজির হন স্ব-শরীরে। ভুক্তভোগী পরিবারের বহু প্রবীণ ও দুস্থ মহিলারা কান্নারত ভাষায় গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান আমাদের জন্য পূর্ব নির্ধারিত সময়ে আসতে বলেন বি জি এফের টাকা নেওয়ার জন্য। সরকারি নির্দেশ মোতাবেক জনপ্রিয় বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন আহমেদ স্ব স্ব ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার সহ স্ব স্ব ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার প্রার্থীদের কথা বিবেচনা করে তালিকা প্রণয়ন করেন। কিন্তু স্থানীয় দুই এক জন মেম্বার বাদে সকলেই চেয়ারম্যানের চমৎকার সাহসী পদক্ষেপকে স্বাগত জানায়নি। বরং লোভের বর্ষবতি হয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের সাথে আতাত করে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বলদিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ বেশ কিছু শীর্ষ নেতারা সুবিধা লুফে নেয়। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নাজেহাল করতেও দ্বিধা বোধ করেননি এচক্রের নেতারা। অথচ গত বছর স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু কিছু নেতারা বি জি এফের চাল কেলেংকারীতে জড়িয়ে পড়েছিল।এদিকে স্থানীয় বেশির ভাগ মেম্বারদের ষড়যন্ত্রের সাথে আতাত করে বর্তমান চেয়ারম্যানকে ছিটকে ফেলে। এ ব্যাপারে বলদিয়া ইউনিয়নের বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের এলাকায় সকলের মঙ্গলের জন্য বর্তমান মেম্বার ও প্রতিটি ওয়ার্ডের স্ব স্ব মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে বি জি এফের টাকার কার্ডের তালিকা প্রনয়ণ করেন। শাহীন চেয়ারম্যান কঠিন দুঃসময়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেনি। বরং বর্তমান সময়ে ইউনিয়নের বেশীরভাগ ইউপি সদস্যরা দারুণ ভাবে গভীর ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করে দেয়। হীন স্বার্থের জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ বিতর্কিত নজরুল বড় মিয়া, এয়ারফোন জাহাঙ্গীর, মোঃ বাচ্চু ও ইদ্রিস গংদের ব্যাবহার করে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জিম্মি করে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন আহমেদকে। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে সারাদিন তালবাহানা করে হত দরিদ্র পরিবারের লোকজনদের সাথে। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে উপেক্ষা করে মনগড়া বিতর্কিত নেতাদের ইচ্ছে মত লোকদের বিজিএফের টাকা নাম মাত্র বিতরণ করে। ঈদের চান রাতে প্রায় ১১ টা পর্যন্ত বসিয়ে পছন্দ মত লোকদের টাকা দেয়। কিন্তু চেয়ারম্যানের কোন তালিকা রাখেনি স্থানীয় রাজনীতির মাঠে চরম বিতর্কিত শীর্ষ নেতারা। তবে ভিন্ন কথা বলেন স্থানীয় রাজনীতির মাঠে ত্যাগী কিছু কিছু নেতারা। সরকারি সাহায্য সহযোগিতার সময়ে বলদিয়া ইউনিয়নে এহেন বিতর্কিত নেতাদের অভাব পড়ে না। কিন্তু এবারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকার কান্ডারীর পক্ষে শীর্ষ নেতা খুঁজে পাওয়া যায় না। বরং চেয়ারম্যানের সঠিক সিদ্ধান্ত ও চমৎকার তালিকাকে উপেক্ষা করে স্থানীয় বেশীরভাগ জনপ্রতিনিধিরা স্থানীয় রাজনীতির মাঠে চরম বিতর্কিত নেতাদের সাথে আতাত করে। এদিকে ইউনিয়নের বহু সাবেক মেম্বাররা গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, বর্তমান সময়ে যারা এবারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতেছে। পাশাপাশি আবার সাবেক মেম্বাররাও নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতেছে। আসলে উভয়ের মতামত যাছাই বাছাই করে তালিকা তৈরী করেন বর্তমান চেয়ারম্যান।চেয়ারম্যানের সুদুরপ্রসারি চিন্তা ভাবনাকে মূল্যায়ন না করে বরং অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে দূর্নীততে মজে থাকা কিছু কিছু জনপ্রতিনিধিরা। এ ব্যাপারে বলদিয়া ইউনিয়নে বর্তমানে বহু মেম্বারের সাথে কথা হয়। কিন্তু মিডিয়র কোন সঠিক প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি। অপরদিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ বহু শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা হয়। একান্ত আলাপ চারিতায় কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেনি। বরং অকপটে স্বীকারও করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাদের কাছে নালিশ করেন। আমরা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছি মাত্র। তবে কৌশলে বর্তমান চেয়ারম্যানকে চাপের মুখে রাখা হয়েছে সুকৌশলে। তবে আমরা চেয়ারম্যানের তালিকা বাদ দিয়ে আমাদের দলের কর্মীদের বেশি প্রদান্য দেই। সর্বশেষ পর্যায়ে কথা হয় বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন আহমেদের সাথে। তিনি অকপটে বলেন, আমার পরিষদের বেশির ভাগ বর্তমান মেম্বাররা আমার সঠিক তালিকাকে উপেক্ষা করে। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের শরণাপন্ন হয়ে অন্যায়কে সাপোর্ট দেওয়ার মিশনে নেমেছে। আমাকে এক ধরনের জিম্মি করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু কিছু নেতারা। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আসলেই আমার পরিষদের বেশির ভাগ মেম্বাররা আমার সঠিক তালিকাকে উপেক্ষা করার দুঃসাহস দেখায়। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাড়তি ফায়দা নেয় মাননীয় মন্ত্রীর কথা বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু কিছু নেতারা।
Leave a Reply